চট্টগ্রামে আ. লীগের সমাবেশ বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি নয়: হুইপ স্বপন

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১১ বছর পর আজ রোববার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে বন্দরনগরীতে।
জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন | ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১১ বছর পর আজ রোববার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে বন্দরনগরীতে।

এই জনসভা বিষয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নিয়ামক শক্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মালিক জনগণ। আজকের জনসভায় মূলত জনগণের কাছে নিজেদের সমর্পণ করার বার্তা পুনরায় উচ্চারিত হবে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার নির্দেশনা আসবে।'

বিএনপি চট্টগ্রামসহ অন্য বিভাগগুলোতে সমাবেশ করেছে। তারই পাল্টাপাল্টি হিসেবে এই সমাবেশ কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি এটি নয়। করোনার মরণ থাবা থেকে উত্তরণের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য করে জেলায় জেলায় দলনেত্রীর জনসভা করার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন আজকের জনসভা। এটি বিভাগীয় মহাসমাবেশ নয়। কেবলমাত্র একটি জেলার জনসভা।'

বিএনপির সমাবেশগুলোতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নানাভাবে বাধা দিচ্ছে, পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে এমন কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলে যে অভিযোগ আছে, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, 'পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে সরকার বা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এই ধরনের ধর্মঘটের বিপক্ষে। এটি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা জেনেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'পরিবহনখাতে বিএনপির প্রচুর লোকজন আছেন। তারা মধ্যস্থতা করে এই সংকটের সমাধান করতে পারতেন। অযথা সরকারের দোষ ধরার জন্য এই সংকট দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। পুলিশ বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাঁধা দিচ্ছে না, বরং সহযোগিতা করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে অথবা আশঙ্কা দেখা দিলে পুলিশ সরকারি দলকেও ছাড় দিচ্ছে না।'

Comments