‘বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বিএনপি নেতাও আসামি’

ছাত্রলীগ-যুবদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষর ঘটনায় চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় ছাত্রলীগ কর্মীর দায়ের করা মামলায় চিকিৎসা করাতে ভারতে যাওয়া এক বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন। তারা দাবি, নগরীর জামাল খান এলাকায় বঙ্গবন্ধুর মুর‍্যাল ও চিত্রকর্ম ভাঙচুরের সঙ্গে বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের কেউ জড়িত নয়।
চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ির নসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। ছবি: স্টার

ছাত্রলীগ-যুবদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষর ঘটনায় চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় ছাত্রলীগ কর্মীর দায়ের করা মামলায় চিকিৎসা করাতে ভারতে যাওয়া এক বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন। তারা দাবি, নগরীর জামাল খান এলাকায় বঙ্গবন্ধুর মুর‍্যাল ও চিত্রকর্ম ভাঙচুরের সঙ্গে বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের কেউ জড়িত নয়।

শনিবার দুপুরে নগরীর কাজীর দেউড়ির নসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীর দায়ের করা মামলাকে 'মিথ্যা মামলা' অভিহিত করে শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের তারুণ্যের সমাবেশ হয়েছে ১৪ জুন। সেই সময় চকবাজার থানায় ছাত্রলীগ কর্মীর করা মামলায় এজাহারভুক্ত ৪৫ নম্বর আসামি মো. ইউসুফ ভারতের চেন্নাইয়ে ছিলেন।

তিনি বলেন, ইউসুফ ঢাকায় ফিরেছেন ১৫ জুন। তবু তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ও প্রশাসন এসব গায়েবি মামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া, মাঠছাড়া করতে চাচ্ছে। মামলা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে পুলিশ।

পুলিশি হয়রানি বন্ধ না হলে হরতালের মতো কঠোর কর্মসুচির হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বিএনপির কেউ জামালখানে ম্যুরাল ভাঙচুরে জড়িত নয় বলে দাবি করে শাহাদাত বলেন, '১৩ জুন মহানগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তারা নিজেরা দুইগ্রুপে মারামারি করে। মারামারি থেকেই বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। এর সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কেউ যদি ওইদিন জামালখানে ভাঙচুরে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় বা ভিডিও ফুটেজে থাকে তাহলে আমরা সব দায় স্বীকার করে নেব।'

তার দাবি, 'তারুণ্যের সমাবেশে' যোগদানের জন্য যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার পথে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ও জামাল খান মোড়ে হামলার মুখে পড়ে। পরে উল্টো বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, এম আই চৌধুরী মামুন ও যুবদল নেতা মোশারফ হোসেন, এমদাদুল হক বাদশাসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে কোতয়ালী ও চকবাজার থানায় দুইটি মামলা করা হয়। এরপর থেকে পুলিশ চট্টগ্রামে গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে।

ছাত্রদল নেতার কাছে থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, বুধবার রাতে চাঁন্দগাওয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা সাবেক ছাত্রদল নেতা নওশাদকে ফাঁসানোর জন্য এনায়েত বাজারের গোয়াল পাড়া থেকে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। নেতাদের ধরে নিয়ে শারিরীক নির্যাতন করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম প্রমুখ।

Comments