কিয়েভে হামলা, ইরানি ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ

সম্প্রতি ড্রোন  উৎপাদনে ইরান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সম্প্রতি ড্রোন উৎপাদনে ইরান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ইরানে তৈরি 'কামিকাযে' ড্রোন হামলার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণের পর প্রতিশোধমূলক হামলার অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই হামলা চালানো হয়।

সম্প্রতি ড্রোন  উৎপাদনে ইরান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সম্প্রতি ড্রোন উৎপাদনে ইরান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

আজ মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, কিয়েভের প্রাদেশিক গভর্নর ওলেক্সি কুলেবা গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানীর আশেপাশের এলাকায় হামলা হয়েছে। হতাহতের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরুর পর প্রথমদিকে কিয়েভে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। বেশ কয়েকদিন সেখানে হামলা বন্ধ থাকে।

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী একমাত্র সেতুতে বিস্ফোরণের পর থেকে 'প্রতিশোধ' হিসেবে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তীব্র হামলা চালাচ্ছে ক্রেমলিন। এর মধ্যে কিয়েভ অন্যতম।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা বিমান হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ইরানের কামিকাযে ড্রোন 'শাহেদ-১৩৬' ধ্বংস করেছে।

সম্প্রতি ড্রোন  উৎপাদনে ইরান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সম্প্রতি ড্রোন উৎপাদনে ইরান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

আজ বন্দর নগরী মিকোলাইভে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হয়েছে।

মিকোলাইভের মেয়র অলেক্সান্দার সেনকেভিচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, 'সেই হামলায় একটি ৫ তলা আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের উপরের ২টি তলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। বাকি অংশ ইট-পাথরের নিচে চাপা পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে আছেন।'

দক্ষিণাঞ্চলের এই শহরে 'বড় আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা' চালানো হয়েছে উল্লেখ করলেও তিনি হতাহতের বিষয়ে কিছু বলেননি।

পশ্চিমের নেতারা চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনে বিমান হামলা প্রতিরক্ষাব্যবস্থাসহ আরও অস্ত্র পাঠানোর অঙ্গীকার করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

1h ago