সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট

জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার জনস্বার্থে রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভূরুলিয়া এলাকার ওসমান গনি সরকারের ছেলে রাহিম সরকার গত সোমবার বিকেলে এফিডেভিট করে পিটিশনটি দাখিল করেছেন। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন অ্যাডভোকেট ইকরামুল হক টুটুল।

রাহিম সরকার জানান, পিটিশনের সঙ্গে তিনি ফিরিস্তি হিসেবে ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতায় 'গ্রাফ্ট ইস হিস মিডল নেম' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদসহ একই পত্রিকার একাধিক প্রকাশিত  প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

তিনি যেসব অভিযোগ এনেছেন, সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আবর্জনা অপসারণের বিল পরিশোধে সরকারি নিয়ম-কানুন না মানা; কোনো কাজ না হওয়া সত্ত্বেও বালি ও মাটি ভরাট এবং রাস্তা প্রশস্তকরণের মতো জনসাধারণের কাজের জন্য অর্থপ্রদানের মাধ্যমে পাবলিক ফান্ড আত্মসাৎ করা; কাজ শুরু হওয়ার আগেই কার্যাদেশ জারির ৩ দিনের মধ্যে অর্থ প্রদান; ১০৪টি স্থায়ী হাট-বাজারের ইজারা মূল্য ছিল ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, কিন্তু করপোরেশন ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা দিয়ে বাকিটা আত্মসাৎ করেছে।

পিটিশনে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে ১ নম্বর, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ২ নম্বর, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোস্তাকিম বিল্লা ফারুকীকে ৩ নম্বর, বাংলাদেশ ব্যাংককে ৪ নম্বর, গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে ৫ নম্বর ও সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে ৬ নম্বর পক্ষ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আদালতে দাখিলকৃত দরখাস্তে ১ থেকে ৪ নম্বর উত্তরদাতার কাছে দুর্নীতি দমন আইন ২০০৭ অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কী কারণে ব্যর্থ হয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে এবং আদালতের কাছে আবেদনকারী দুর্নীতি দমন আইন ২০০৭ অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ তদন্ত অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১ থেকে ৪ নম্বর পক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

EU lists Bangladesh among 7 'safe' countries, tightening asylum rules

The move, criticised by rights groups, is set to allow EU governments to process asylum applications filed from citizens of those countries more quickly

10h ago