তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় আরও ২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আরও দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

সাক্ষীরা হলেন- বন্ধ হয়ে যাওয়া পত্রিকা দৈনিক দিনকালের সাবেক হিসাবরক্ষক মো. এমরাজ আলী শিকদার ও সৈয়দ আজাদ ইকবাল।

ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দিতে তারা আদালতকে জানান, মামলার তদন্ত চলাকালে তদন্ত কর্মকর্তা তাদের উপস্থিতিতে তাদের অফিস থেকে কিছু কাগজপত্র জব্দ করেন।

চার্জশিটে এই দম্পতিকে পলাতক দেখানো হয়েছে। আজ আদালতে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

আগামী ২৮ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ২১ মে মামলার অভিযোগকারী দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হুদা আদালতে জবানবন্দি দেন।

গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি চেয়ে এক আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

তারেক ও জোবাইদা ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে রয়েছেন।

তারেকের বিরুদ্ধে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আরও ১৫টি মামলা করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গ্রহণ করে গত বছরের ১ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

গত বছরের ২৬ জুন তারেক রহমান ও জোবাইদাকে 'পলাতক' ঘোষণা করেন আদালত। দুর্নিতীর বিরুদ্ধে আনা আবেদনও খারিজ করেন আদালত।

একই সঙ্গে হাইকোর্ট ওই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক, তার স্ত্রী জোবায়দা ও সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন সংস্থা।

তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তবে ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তারেক রহমানের।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ আরও ২টি মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago