ইউরোপীয় ইউনিয়নে চালু হয়নি 'থ্রেডস'

টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ 'থ্রেডস' ০৬ জুলাই থেকে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অ্যাপটি এখনও উন্মুক্ত হয়নি। ছবি: রয়টার্স
টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ 'থ্রেডস' ০৬ জুলাই থেকে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অ্যাপটি এখনও উন্মুক্ত হয়নি। ছবি: রয়টার্স

টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ 'থ্রেডস' ০৬ জুলাই থেকে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অ্যাপটি এখনও উন্মুক্ত হয়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহার সম্পর্কিত কিছু আইনগত বিধিনিষেধের কারণে মার্ক জাকারবার্গের এই অ্যাপটি আপাতত সেখানে চালু হচ্ছে না।

দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যানুসারে, থ্রেডসের ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহারের অনিশ্চয়তাকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অ্যাপটি প্রকাশে বিলম্ব করছে মেটা। মেটার সূত্র থেকেও জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের কারণে এই অ্যাপ চালু হতে দেরি হচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টের অধীনে, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীর ডেটা আদানপ্রদানের উপর বিধিনিষেধ থাকার কারণে টুইটার প্রতিদ্বন্দ্বী থ্রেডস সেখানে আটকে পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী শাখার ইউরোপীয় কমিশন এই বিষয়ে মীমাংসা এবং বিবেচনা করবে বলে জানা যায়। তাই আইনটি কীভাবে কার্যকর করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তার জন্যে অপেক্ষায় রয়েছে মেটা।

বর্তমানে থ্রেডস অ্যান্ড্রয়েডের প্লেস্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপস্টোরে পাওয়া যাচ্ছে এবং এর ইন্টারফেস ও সেবাগুলো অনেকটাই টুইটারের মতো।

মেটার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক ২টি রায়ের কারণে এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় বিচার বিভাগ, ইইউ ওয়াচডগের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের তদন্ত করার অধিকারকে একটি রায়ে বহাল রেখেছে। এই রায়ে বলা হয়, ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দেয়ার আগে ব্যবহারকারীর সম্মতি নিতে হবে।

মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফেসবুককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারকারীর ডেটা স্থানান্তর বন্ধ করার আদেশ দেয়। যার ফলে সামাজিক মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলোর পরিষেবা ইউরোপে সীমিত হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনুবাদ: আহমেদ বিন কাদের অনি

তথ্যসূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

1h ago