ধর্ষণের ঘটনায় যে সিদ্ধান্ত নিল জাবি সিন্ডিকেট

জাবিতে ধর্ষণ
ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৬ শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

আজ রোববার দুপুরে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল ও হল সংলগ্ন এলাকায় ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে আজ বিকেল থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার সনদ স্থগিত করা হয়েছে।

তাকে সহযোগিতাকারী একই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার ও সনদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। 

অভিযুক্তকে পালাতে সহায়তা করার নির্দেশদাতা একই বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ পরানের সনদ স্থগিত করা হয়েছে।

পালাতে সহায়তা করায় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মো. সাব্বির হাসান সাগর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ এস এম মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী ও মো. হাসানুজ্জামানকে সাময়িক বহিষ্কার ও তাদের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। 

একই সঙ্গে তাদের তিনজনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এছাড়াও, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতায় অভিযুক্ত বহিরাগত মামুনসহ অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাবি প্রশাসন।

সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে সিন্ডিকেট আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলো হলো-

১. ইতোমধ্যে যাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে তাদের এবং অবৈধভাবে হলে অবস্থানরত অন্যান্য শিক্ষার্থী ও পোষ্যদের আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে হল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে বলা হয়েছে।

হল ত্যাগ না করলে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

২. ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

৩. ভাসমান দোকান সরিয়ে দিতে নিরাপত্তা ও এস্টেট শাখাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৪. ক্যাম্পাসে অনুমোদনহীন অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা শাখা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago