ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছে এনসিপিসহ ১৬টি দল

এনসিপির লোগো। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির লোগো। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও অপর ১৫টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছে। 

গতকাল রোববার এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বলেন, 'প্রাথমিক বাছাই শেষে এনসিপিসহ ১৬টি দলের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

গতকাল রোববার সচিবালয়ে ইসির রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন যাচাই বাছাই সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগির এসব দলের কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিস, কমিটিসহ অন্যান্য তথ্যাদির সঠিকতা যাচাইয়ে তদন্ত শুরু হবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

এবার নিবন্ধন পেতে ২২ জুন পযন্ত ১৪৫ টি দল আবেদন করে। দলগুলোকে ৩ আগস্ট পযন্ত আবেদনপত্রের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ৫৯টি দল আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে ব্যর্থ হয়। ভুল সংশোধনের জন্য সময় ও সুযোগ দেওয়ার পরও অপর ৬৯-৭০টি দল তা করেনি।

ইসি সচিবালয় আবেদনপত্র বাতিল হওয়া দলগুলোকে বিষয়টি জানিয়ে দেবে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, দেশের অন্তত এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০ উপজেলায় কমিটি ও প্রতিটি কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়।

নিবন্ধনপ্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর প্রাথমিক বাছাই করে কমিশন। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলি মাঠপর্যায়ে সরেজমিন তদন্ত শেষে কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন যদি নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কারও দাবি বা আপত্তি আছে কি না, সে জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে প্রতীক নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি।

 

Comments

The Daily Star  | English

AL govt’s secret surveillance state

From snooping devices carried in backpacks to locate people through their phones to a massive infrastructure that can intercept even end-to-end encryption from a central command centre, the Awami League government had been on an increasingly aggressive trajectory towards building a powerful surveillance state. 

8h ago