দাবি-শর্ত না মানলে এবারও নির্বাচন হবে না: জামায়াত

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ। তবে দলটির নেতারা বলছেন, আগে তাদের দাবি ও শর্তগুলো না মানলে এবারও নির্বাচন হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
বিকেলে জামায়াতের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিমউদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরীর উত্তরের নায়েব আমির আব্দুর রহমান মুসা, ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত, ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সভাপতি আবিদ হাসান।
বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আসেনি। সে কারণে আমরা অন্যান্য দাবির সঙ্গে জোরালোভাবে বলছি যেন সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা হয়, যেটা এখনো অনুপস্থিত।'
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে চ্যালেঞ্জ কী, এমন প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, 'ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার জন্য আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে নির্বাচনের টাইমলাইন দিতে পারেন। সরকার প্রস্তুত হলে এই টাইমলাইনে করতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু নির্বাচনের জন্য যে শর্ত ও দাবি আমরা দিয়েছি, সেগুলো এনসিওর করে নির্বাচনে যেতে হবে। তাহলে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নাহলে এবারও নির্বাচন হবে না।'
পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) ছাড়া জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে যাবে কি না, এমন প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ সুস্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, 'ফেয়ার ইলেকশন ব্যাপারে সবসময় আমরা সিনসিয়ার ছিলাম। এই পদ্ধতিটাও আমরা মনে করি দেশের জন্য কল্যাণকর হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। পিআর পদ্ধতিতে ভোটারদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।'
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, 'আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে মাঠে-ময়দানে জনগণের কাছে যাচ্ছি। আমরা জনমত গঠনের কাজ করছি।'
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, 'সংসদীয় আসনের সীমানাসহ কিছু বিষয় আছে। আমাদের কিছু বক্তব্য আছে। সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা সাক্ষাত করেছি। আমাদের বক্তব্য আমরা তুলে ধরেছি। তারা বলেছেন যে, আমাদের বক্তব্যগুলো ভ্যালিড, লিগ্যাল বা যৌক্তিক হলে বিবেচনায় আনা যায় কি না, এটা তারা খতিয়ে দেখবেন।'
Comments