৫২ বছরে নির্বাচনী ব্যবস্থার কী পরিবর্তন হলো?

প্রশ্ন হলো, ১৯৯১ সালে দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা চালুর পরে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে একটি তুলনামূলক ভালো নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছিল, মাঝখানে এসে সেই পদ্ধতি বাতিল করে কি আরেকটি উত্তম পদ্ধতি চালু করা গেছে?

বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিন শত সদস্য লইয়া সংসদ গঠিত হইবে।'

এখানে বলা হয়েছে 'প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে'। অর্থাৎ ইলেকশন; সিলেকশন নয়। যে কারণে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড় শতাধিক আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে ওই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট হয়েছিল। যদিও সেই রিট খারিজ হয়ে গেছে। অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও তারা বৈধ সংসদ সদস্য হিসেবেই ঘোষিত হয়েছেন।

যে প্রশ্নটি একাডেমিক পরিসরে বেশ সক্রিয় সেটি হলো, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত যে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে শুধু সরকারের বদল কিংবা সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার বাইরে আর কী হয়েছে? সর্বজন গ্রাহ্য একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা কি আদৌ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে? বা সেই লক্ষ্যে কি কোনো কাজ হচ্ছে?

নির্বাচনকে ক্ষমতার পালাবদলের প্রধান মাধ্যম বলা হলেও এ পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো বিতর্কমুক্ত থাকেনি। তুলনামূলকভাবে কম বিতর্কিত হয়েছে, এরকম নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে মূলত নির্দলীয় সরকারের অধীনে।

যদিও একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান রাজনীতিবিদদের জন্য কতটা সম্মানজনক, সেটিও বিরাট তর্ক। বিপরীতে এরকম একটি বিধান কেন চালু করতে হয়েছিল, আবার সেই বিধানটি কেনই বা বাতিল করা হলো, তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

বাস্তবতা হলো, এখন পর্যন্ত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংবিধানে যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান ছিল, সেটিকে তুলনামূলক ভালো পদ্ধতি বলা হলেও সেটি 'গণতান্ত্রিক নয়' এবং 'সর্বোচ্চ আদালত ওই বিধানের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন' যুক্তিতে ২০১০ সালে বিধানটি সংবিধান থেকে বাতিল করা হয়।

কিন্তু বাতিল করার পরে এখন যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে, সেটি কি সর্বজন গ্রাহ্য? এই পদ্ধতিতে কি অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব? দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময়ে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কি শতভাগ নিরপেক্ষ, নির্মোহ, চাপমুক্ত থাকতে পারেন বা থাকেন?

অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, যখন যে দল ক্ষমতায় ছিল, তার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সেই দল হারেনি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, মাঠ প্রশাসনের ওপর তাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে যতই স্বাধীন বলা হোক না কেন, দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যখন দেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো সক্রিয় থাকে, তখন কমিশনের পক্ষে শত ভাগ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করা কঠিন। আবার কমিশন যতই নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতমুক্ত থাকুক না কেন, মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতটা চাপমুক্ত থাকতে পারে—সে প্রশ্ন বেশ পুরনো।

এবারের নির্বাচনটি দলীয় সরকারের অধীনে হলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে বেশ নিরপেক্ষ, সাহসী এবং প্রভাবমুক্ত বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি যদি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো, তাহলে তারা কি এরকম নিরপেক্ষ থাকতে পারতো এবং সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সক্ষম হতো? সেটি খুব কঠিন হতো। তার মানে অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক বলে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের বিধান বাতিল করার পরে এরচেয়ে ভালো এবং গণতান্ত্রিক কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। বরং যে ব্যবস্থাটি রয়েছে, সেটি প্রশ্নবিদ্ধ।

একটু পেছনে ফেরা যাক।

বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। এই নির্বাচনে ১৪টি দল অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল হিসেবে ওই সময়ে দেশে আওয়ামী লীগের বিকল্প ছিল না—এমন একটি বাস্তবতায় যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে শত ভাগ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনেই যে আওয়ামী লীগ জয়ী হতো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরও ওই নির্বাচন কি শত ভাগ অবাধ-সুষ্ঠু-প্রভাবমুক্ত হয়েছে?

বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচনে ২৯টি দল অংশগ্রহণ করে। বিজয়ী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পায় ২০৭টি আসন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (মিজান) ২, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৮, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ ২০, অন্যান্য দল ৮ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন ১৬টি আসনে। এই নির্বাচনটি হয়েছিল দেশের একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং তখন ক্ষমতায় জিয়াউর রহমান। ওই নির্বাচনটি যে শতভাগ প্রভাবমুক্ত ছিল না, সেটি পরবর্তীতে বিভিন্ন গবেষণা ও লেখায় উঠে এসেছে।

তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৮৬ সালের ৭ মে। তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ। নির্বাচনে তার দল জাতীয় পার্টি পায় ১৫৩টি আসন। এর বাইরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৬, জামায়াতে ইসলামী ১০, অন্যান্য দল ২৯, স্বতন্ত্র ৩২। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এই নির্বাচনটিও শতভাগ প্রভাবমুক্ত ছিল না বলে মনে করা হয়। তবে তৎকালীন সরকার চাইলে আরও বেশি আসনে তাদের দলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে পারতো। কিন্তু এরশাদ সেই পথে না গিয়ে অন্তত সরকার গঠনের মতো আসনেই সন্তুষ্ট থেকেছেন।

চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় তৃতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছরের মধ্যে ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ। এটি ছিল সাজানো নির্বাচন—যা ওই সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বর্জন করে। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টি ২৫১টি আসনে জয় পায়।

বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের পরে প্রথমবারের মতো তুলনামূলকভাবে ভালো এবং গ্রহণযোগ্য ভোট হয় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এই নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি, আওয়ামী লীগ ৮৮টি, জাতীয় পার্টি ৩৫টি, জামায়াতে ইসলামী ১৮টি আসনে জয় পায়।

কিন্তু এরপরে ১৯৯৬ সালে নির্বাচনী ব্যবস্থা আবারও ধাক্কা খায়। ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যে নির্বাচনটি হয় একতরফা। সারা দেশে এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এখনও খারাপ নির্বাচনের উদাহরণ দিতে গিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনের কথা বলে। কিন্তু এটিও বাস্তবতা যে, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদেই সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করা হয়। অর্থাৎ একটি খারাপ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদে একটি ভালো নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিধান করা হয়।

১৯৯১ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় একধরনের কেয়ারটেকার সিস্টেমে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন। এদিন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি হেরে যায়। ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচনটি যে প্রভাবমুক্ত এবং নিরপেক্ষ ছিল, তার প্রমাণ দেশের প্রধান দুই দলের ভোট পাওয়ার অনুপাত। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পায় ১৪৬টি এবং বিএনপি ১১৬টি আসন। তৃতীয় দল হিসেবে জাতীয় পার্টি পায় ৩২টি আসন।

২০০১ সালের ১ অক্টোবর একই পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে যায়। আবার ক্ষমতায় আসে বিএনপি। তারা পায় ১৯৩টি আসন। আর আওয়ামী লীগ ৬২টি। দেখা যাচ্ছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিরোধী দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেয়েছে।

দেশের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন দুই বছর পিছিয়ে যায়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে পুনরায় বিএনপি হেরে যায় এবং ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি তথা চারদলীয় জোট সরকারের আমলের নানা কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ থাকলেও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশের অন্যতম প্রধান দল মাত্র ৩০টি আসনে জয়ী হয়েছে—এটিও স্বাভাবিক কি না, সে প্রশ্নও আছে। তবে এটা ঠিক যে, ২০০৮ সালের নির্বাচন শতভাগ অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ও চাপমুক্ত হলেও বিএনপি হেরে যেতো এবং আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করতো।

বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাটি বড় আকারে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে মূলত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ২৩৪টি এবং তাদের শরিক জাতীয় পার্টি ৩৪টি আসনে জয় পায়। নির্বাচনের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও তারা মাত্র ৬টি আসনে জয়লাভ করে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পায় ২৫৮টি আসন। যত বিতর্কই থাকুক, বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান দল মাত্র ৬টি আসন পাবে, এটি খুব স্বাভাবিক ঘটনা নয়।

প্রশ্ন হলো, ১৯৯১ সালে দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা চালুর পরে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে একটি তুলনামূলক ভালো নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছিল, মাঝখানে এসে সেই পদ্ধতি বাতিল করে কি আরেকটি উত্তম পদ্ধতি চালু করা গেছে? যদি না হয় তাহলে নির্বাচনী ব্যবস্থাটি নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে; দেশ যে নানাবিধ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে এই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার ঘটনার কি কোনো দায় নেই?

আবার সেই শুরুর প্রশ্ন। অর্থাৎ এ পর্যন্ত যে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে সরকারের বদল কিংবা সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার বাইরে আর কী হয়েছে? সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালী করা তথা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে যে নির্বাচনী ব্যবস্থাটি অধিকতর শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, তার বিপরীতে কেন এই ব্যবস্থাটি দুর্বল করা হলো? বিতর্কিত করা হলো? আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাটি কি আগের চেয়ে ভালো হওয়ার দিকে যাত্রা শুরু করবে নাকি আরও একটি 'খারাপ' নির্বাচনের উদাহরণ তৈরি হবে?

 

আমীন আল রশীদ: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments