সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান তিনি।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাড়ে আট হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র আইসিটিতে জমা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (ট্র্যাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর) আজ রোববার আনুষ্ঠানিক এই অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে সরকার।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
আইনে সংগঠন শব্দটির সংজ্ঞায়নও করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় সংগঠন বলতে যেকোনো রাজনৈতিক দলকেও বোঝাবে। পাশাপাশি দলের অধীনস্থ, সম্পর্কিত বা সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন অথবা গোষ্ঠীকে বোঝাবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনের বিচারের জন্য আইসিটি আইনে সংশোধনী আনছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করেছে সরকার।
অপর আসামিরা হলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও হাসান মাহমুদ খন্দকার।
মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে আগামী ৯ এপ্রিল হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ তদন্তে তিনি আদালতের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছেন...
তাদের মধ্যে আছেন—আনিসুল হক, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার,...
আজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, কারণ ভবিষ্যতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময়কার এ ধরনের তথ্য-উপাত্ত বিচারিক কাজে প্রয়োজন হতে পারে। তাই আদালত এনটিএমসি ও বিটিআরসিকে এ...
একইসঙ্গে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
তিনি বলেন, ২০২৫ সাল আমরা শুরু করতে পেরেছি স্বৈরশাসন মুক্ত পরিবেশে।
প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশে গুম, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, সেই অপরাধের যারা মাস্টারমাইন্ড, যারা একদম সর্বোচ্চ জায়গায় বসে থেকে অপরাধগুলো সংঘটিত করেছিলেন তাদের প্রাধান্য দিয়ে বিচার করা।
চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের সময় গণহত্যার তথ্য বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করতে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়।