‘আজকে দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে এবং নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
যে নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ, জালিয়াতিতে ভরপুর, সেই নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করলেই নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত হয়ে যায়—এমন ধারণা নিশ্চয়ই গণতন্ত্রে নেই।
নির্বাচনের সময় ঘোষণায় মাঠ দখল নিয়ে বিএনপি যদি লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সামগ্রিকভাবে অচল করে দিতে চায়, তাহলে সরকারের সমর্থক দেশি-বিদেশি মহলের বিরাগভাজন হয়ে উঠতে পারে বিএনপি।
উত্তাল সাগরে চলমান জাহাজের হাল ছেড়ে যেতে পারেন না একজন ক্যাপ্টেন
অন্তর্বর্তী সরকার কি ক্ষমতা ছাড়বে, নাকি এ সরকারের ক্ষমতাকাল আরও দীর্ঘ হবে? তাহলে রাজনৈতিক স্বপ্নভঙ্গই কি এ ভূখণ্ডের মানুষের নিয়তি?
সম্প্রতি কি বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেছে যার কারণে আমাদের এই বিশ্বাস জোরদার হবে যে, আমরা গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছি?
সম্পাদক পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার কি সংস্কার করেই নির্বাচনে যাবে? নাকি, নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে?
তিনি বলেন, একটা বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধাভোগী জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে।
আজকে যার বয়স ১৫ বছর, সে হয়তো ভাবতেও পারবে না যে, ১৫ বছর আগে—অর্থাৎ ২০০৯ সালের আগের বাংলাদেশ কী অবস্থায় ছিল!
‘সরকার যদি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এ দেশে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাহলে মানুষকে কথা বলার স্বাধীনতা দিতে হবে। ভোটের স্বাধীনতা দিতে হবে। এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’
আমরা চাপ অব্যাহত রাখব, যাতে বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতা বজায় থাকে এবং আমরা আরও উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানানো অব্যাহত রাখব।
মূলনীতি চারটি কেন এসেছিল? এসেছিল আমাদের সমষ্টিগত সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার হিসেবে।
‘গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দেশ উন্নত হয়।’
‘দেশীয় হানাদার শক্তি জনগণের ভোটাধিকার, জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রত্যেকটি অধিকার হরণ করে একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে।’
‘দীর্ঘ ২৯ বছর অগণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশ শাসন করেছে।’
এত বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে টিআইবির সমালোচনা ও চরিত্রহনন করে কোনো ক্ষমতাসীন সরকার কি একটুও উপকৃত হয়েছে? তারা যদি টিআইবির প্রতিবেদনগুলো আরও ভালো করে যাচাই-বাছাই করত, তাহলে কি আরও উপকৃত হতে পারত না?
এক মতবিনিময় সভায় তারা এ উদ্বেগ জানান।
তিনি বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নিরস্ত্র জনসাধারণ রাজপথে থেকে, সরকারের বন্দুক-বুলেটকে মোকাবিলা করে, সরকারকে পরাজিত করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’