এর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে যাওয়া প্রাদেশিক সরকারের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচ ক্রু নিহত হয়েছেন।
বন্যার পানিতে ভেসে আসা বালু কৃষিজমিতে পুরু স্তর তৈরি করেছে। এতে আমন ধানের বড় ক্ষতি না হলেও সবজিখেত নষ্ট হয়েছে। অনেক কৃষকের ঘরবাড়ি, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু ভেসে গেছে। কারও কারও বাড়ির উঠানে মাটি...
এই ধসে লালমনিরহাট-রংপুর সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। পাশাপাশি আশপাশের অন্তত তিনটি গ্রামের এক হাজারেরও বেশি পরিবারের বসতভিটা ও কৃষিজমি সরাসরি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
গবাদিপশু ও আসবাবপত্র নিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর। কেউ কেউ পলিথিন মোড়ানো ঝুপড়ি তৈরি করে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
তিস্তার পানি এখন বিপদৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অতসীর সকাল শুরু হয় পানি সংগ্রহের দীর্ঘ যাত্রায়, আর দিন শেষ ক্লান্ত শরীরে। ‘খুব ইচ্ছা ছিল কলেজে পড়ব,’ বলে কিছুটা চুপ হয়ে যায়, চোখের আলো ঝাপসা হয়ে যায় যেন।
এছাড়া, জেলার ২ হাজার ৩০০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে।
‘আশা ছিল, এবারের আউশ ধান ঘরে তুলে পরিবারের খাবারের জন্য রেখে বাকি ধান বিক্রি করে ঋণ শোধ করব। তা আর হলো কই। সর্বনাশা বৃষ্টি সব স্বপ্ন ভাসিয়ে নিলো। আমি এখন দিশেহারা।’
বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও খারাপ হবে বলে একটি নতুন সমীক্ষায় জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয়টি পুরোপুরি ধ্বসে পড়ার ঝুঁকি থাকায় শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী ধূলশুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আপাতত ক্লাস করতে বলা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ৩০ মিনিটের ব্যবধানে ১২টি বাড়ি, ১০০ ফুট রাস্তাসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে।
সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ আগামী ১৫ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে।
পরিচয় জানতেই দাঁড়িয়ে গেল বৃদ্ধ দম্পতি। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল দুজনার।
আজ বুধবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া তিস্তা সেতু পয়েন্টে তিস্তার পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৭৬ মিটার যা বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরে।
‘এই বাঁধের কারণে বন্যা ও নদীভাঙন থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ রক্ষা পাচ্ছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে আমরা সীমাহীন ক্ষতির মুখে পড়ব।’
বন্যার পানি কমে গেলেও এখনো পর্যন্ত অনেক স্কুলে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়নি।
আজ সোমবার রাত ৮টা ৫১ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
রাঙ্গামাটির ৭১টি প্রাথমিক স্কুল বন্যা প্লাবিত হয়েছিল। গত ৩ দিন বৃষ্টি কম হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমেছে। কিন্তু কাদা জমে থাকায় পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না।