মুখের আকৃতি বুঝে ব্লাশ দেবেন কীভাবে, মানাবে কোন শেড

অনেকেই সঠিক নিয়মে ব্লাশ ব্যবহার করতে জানেন না। কেউ প্রয়োজনের অতিরিক্ত দিয়ে ফেলেন, আর কেউ বা এতই হালকা করে দেন যে ঠিকমতো বোঝা যায় না। অনেকে আবার চেহারার আকৃতি এবং শেড না বুঝেই ব্লাশ ব্যবহার করেন।
ছবি: সংগৃহীত

খুব যত্ন করে মেকআপ করলেন, অথচ দেখে মনে হচ্ছে চেহারা ফ্যাকাসে লাগছে, কেমন যেন প্রাণহীন? ব্লাশ দিতে ভুলে যাননি তো? সুন্দর মেকআপের জন্য ব্লাশ খুবই জরুরি। আজকাল তো ভারি মেকআপ ছাড়াও শুধু একটু ব্লাশ লাগিয়ে ন্যাচারাল লুক তৈরি করার ট্রেন্ডও চলছে।

তবে অনেকেই সঠিক নিয়মে ব্লাশ ব্যবহার করতে জানেন না। কেউ প্রয়োজনের অতিরিক্ত দিয়ে ফেলেন, আর কেউ বা এতই হালকা করে দেন যে ঠিকমতো বোঝা যায় না। অনেকে আবার চেহারার আকৃতি এবং শেড না বুঝেই ব্লাশ ব্যবহার করেন। তাতে চেহারা খুব বড় বা ছোট দেখা যায়। এই সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়েই আজকের লেখাটি।

ব্লাশের ধরন

ব্লাশ মূলত দুটি ফর্মুলায় বাজারে পাওয়া যায়। পাউডার ব্লাশ এবং ক্রিম ব্লাশ। এ ছাড়া লিকুইডও ব্লাশ কিনতে পাওয়া যায়। ক্রিম ব্লাশ এবং লিকুইড ব্লাশ সাধারণত দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়ে থাকে এবং পাউডার ব্লাশ তুলনামূলক কম সময় স্থায়ী হয়। পাউডার ব্লাশের ক্ষেত্রে হালকা শিমারি ব্লাশও পাওয়া যায়।

স্কিনটোন এবং ধরন অনুযায়ী ব্যবহার

বাজারে ব্লাশের রঙের অভাব নেই। কিন্তু শেড না বুঝে ব্লাশ দিলে হিতে-বিপরীত হয়। কারণ সব স্কিনটোনে সব রঙের ব্লাশ মানানসই হয় না। তাই যাদের ত্বকের রং উজ্জ্বল, তারা বেছে নিতে পারেন রোজ, বেবি পিংক, ব্রাইট পিচের মতো রংগুলো। অন্যরা বেছে নিতে পারেন ডার্ক মভ, টেরাকোটা, ব্রাউন, অ্যাপ্রিকট ধরনের রংগুলো।

ত্বকের ধরনের ওপর নির্ভর করে কোন ফর্মুলার ব্লাশ ব্যবহার করা উচিত। যেমন- তৈলাক্ত ত্বকে পাউডার ব্লাশ ব্যবহার করতে হয়। পাউডার ব্লাশ একটা সময় পর খুবই হালকা হয়ে মিলিয়ে যায়। এর একটা সমাধানও আছে। তা হলো অল্প একটু ক্রিম বা লিকুইড ব্লাশ ব্যবহার করে তার ওপর পাউডার ব্লাশ দেওয়া। এতে দীর্ঘক্ষণ ব্লাশ সেট করে রাখা যায়।

যাদের ত্বক শুষ্ক তাদেরকে পাউডার ব্লাশের বদলে বেছে নিতে হবে লিকুইড বা ক্রিম ফর্মুলার ব্লাশ। শুষ্ক ত্বকে পাউডার ব্লাশ ব্যবহারে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক দেখা যায়।

মুখের আকৃতি বুঝে ব্লাশ

মুখের আকৃতি অনুযায়ী ব্লাশ ব্যবহার না হলে তা মানানসই হয় না। সব চেহারায় একই অ্যাঙ্গেলে ব্লাশ দেওয়া উচিত না। যেমন মুখ যদি গোলাকৃতির হয়ে থাকে তাহলে মুখের গড়নকে চাপা দেখাতে গালের অ্যাপল পার্টকে ভি শেইপের মতো করে গালের পাশের পুরো অংশতে ব্লাশ লাগাতে হবে। হালকা করে থুতনিতেও কিছুটা দিতে হবে, যাতে গোল মুখ কিছুটা লম্বাটে মনে হয়।

যাদের মুখ লম্বাটে এবং চারকোণা ধরনের তাদের চারকোণা করেই ব্লাশ লাগাতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনোভাবেই নাকের পাশে ব্লাশ না লাগানো হয়। চিকবোনের কাছ থেকে ব্রাশ টেনে টেম্পলের দিকে উঠিয়ে ব্লাশ লাগাতে হবে।

হার্ট শেপ আকৃতির মুখ যাদের, তাদের কপাল সাধারণত বড় থাকে এবং অ্যাাপল পার্ট উঁচু থাকে। তাই তারা চিকবোন থেকে ব্লাশ দেওয়া শুরু করে টেম্পল পর্যন্ত আপওয়ার্ড মোশনে ব্লাশ দিতে পারেন।

 

Comments