দ্বিতীয় পর্ব

শতবছর পূর্বে কেমন ছিল রমজান

প্রতীকী ছবিটি নেট থেকে নেওয়া

সময়ের সাথে বদল হয় মানুষের, সমাজের ও সংস্কৃতির। ক্ষেত্রবিশেষ বদলে যায় ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের কায়দাও। ২০২৫ সালে বাংলার মুসলমান সমাজ যেভাবে রোজা পালন ও উদযাপন করছেন, শতবছর পূর্বে তথা ১৯২৫ সালে এই উদযাপনের ধরণ কি এক‌ই ছিল, না ভিন্ন? প্রশ্নটি এই কারণে জরুরী যে, এর উত্তরের মাধ্যমে মুসলমান সমাজ ও সংস্কৃতির পরিবর্তনের ধারা ও ধারাবাহিকতা বোঝা যাবে। পাশাপাশি পরিচিত হবো, আমাদের পূর্বপুরুষদের রমজান উদযাপনের রীতিনীতির সাথেও।

বিশ শতকে জীবনযাপন করা ব্যক্তিত্বদের স্মৃতিকথা থেকে আমরা জানতে চেষ্টা করবো, কেমন ছিল শতবছর পূর্বের রমজান পালনের ধরণ।

১৯০৬ সালে সিলেটের মৌলভীবাজারে জন্মগ্রহণ করা সৈয়দ মোস্তফা আলী (সৈয়দ মুজতবা আলীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা) তাঁর কৈশোরের স্মৃতিতে রমজান প্রসঙ্গে বলেন: "কিন্তু রমযান মাসে তারাবীহের নামাযের কি ব্যবস্থা করা যায়—এই নিয়ে হলো সমস্যা। ঠিক হলো সকলে চাঁদা উঠিয়ে হাফেয সাহেব যোগাড় করবেন। তিনি ১০ দিনে এক খতম কোরআন পড়াবেন। বাকী ২০ দিন সূরেহ-তারাবীহ (সুরা তারাবি) হবে।

আমাদের পশ্চিমের বাসা মরহুম আয়াত উল্লাহ মোক্তার সাহেবের ছিলো—কয়েক খানা তক্তপোশের উপর তাঁর মস্ত বড় ফরাশ ছিলো। সেই ফরাশের উপর রোযার মাসে তারাবীহের নামাযের ব্যবস্থা হলো; আমিও তারাবীহে শামিল হলাম। দশ দিনে কোরআন খতম হলো—হাফেয সাহেবকে তাঁর উপযুক্ত মর্যাদা দিয়ে বিদায় করা গেল—বাকী ২০ দিন সূরেহ-তারাবীহ হলো।" (আলী : ১৯৬৮)

১৯০৭ সালে চট্টগ্রামের পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রহমান। পাকিস্তান আমলে তিনি বিভাগীয় স্কুল ইন্সপেক্টর ছিলেন। তাঁর স্মৃতিকথায় এভাবে এসেছে রমজান প্রসঙ্গ: "খতম তারাবী পড়া রমজান মাসে একটা বিশেষ পুণ্য কাজ বলে মনে করা হত। নিকটস্থ মসজিদে খতম তারাবী পড়া না হলে দূরবর্তী মসজিদে ছাতি, লাঠি ও ফানুস হাতে কত বর্ষণ-মুখর রাত্রিতে একাকী অভিযান করেছি তার হিসাব নেই।" (রহমান : ১৯৭২)

রমজান মাসে তারাবি নিয়ে বর্তমান সময়েও কিশোর ও তরুণদের মাঝে যে উচ্ছ্বাস দেখা যায় ও সামাজিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় তা শতবছর পূর্বেও বিরাজমান ছিল। তারাবিতে কুরআন খতম তথা খতম তারাবির যে হিড়িক পড়ে যায় তার রেওয়াজ তখনও ছিল। চট্টগ্রাম এবং সিলেট দুই জায়গাতেই খতম তারাবির উপস্থিতি লক্ষণীয়।

আবদুর রহমান চট্টগ্রামের প্রান্তিক উপজেলা পটিয়া এবং সৈয়দ মোস্তফা আলী সিলেটের মৌলভীবাজারের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের সাক্ষ্য থেকে ধারণা করা যায়, সারা বাংলার মুসলমান সমাজেই রমজান উপলক্ষে তারাবি নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের ঘনঘটা ছিল। ১৯০৩ সালে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করা কবি জসীম উদ্‌দীনের 'তারাবি' কবিতাটিও তৎকালীন ফরিদপুরের তারাবিকেন্দ্রিক উৎসবের উজ্জ্বল স্মারক:

"তারাবি নামাজ পড়িতে যাইব মোল্লাবাড়িতে আজ,

মেনাজদ্দীন, কলিমদ্দীন, আয় তোরা করি সাজ।

চালের বাতায় গোঁজা ছিল সেই পুরাতন জুতা জোড়া,

ধুলাবালু আর রোদ লেগে তাহা হইয়াছে পাঁচ মোড়া।

তাহারি মধ্যে অবাধ্য এই চরণ দুখানি ঠেলে,

চল দেখি ভাই খলিলদ্দীন, লুন্ঠন-বাতি জ্বেলে।

ঢৈলারে ডাক, লস্কর কোথা, কিনুরে খবর দাও,

মোল্লাবাড়িতে একত্র হব মিলি আজ সারা গাঁও।"

১৯১৪ সালে বরিশালের মঠবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন ডাক্তার আবদুল বাসেত। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে গভর্নরের ডাক্তার হিসেবে নিযুক্ত করেন। তাঁর বাল্যকালের স্মৃতিকথায় রমজান প্রসঙ্গে বলেন: "রোজার মাসে মা-বাবা যখন আমার ভাইদের লইয়া সেহরী খাইতে উঠিতেন, আমিও তখন জাগিয়া উঠিয়া বসিতাম। মা নিজে খাইতেন আর আমাকেও আম-দুধ-কলা মাখিয়া মাখিয়া খাওয়াইতেন। তিনি আমাকে বলিতেন, তুমি দুইটি করে দিনে রোজা থাকবা— দুপুর পর্যন্ত একটি আর দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি। আমিও তাহাই করিতাম। মা আমার ডবল রোজা রাখা দেখিয়া প্রাণ খুলিয়া হাসিতেন আর খুশী হইয়া মাঝে মাঝে চাউলের গুড়ার মলিদা, তোকমার সরবৎ, ফুলরি ইত্যাদি হরেক রকম ইফতারী তৈরী করিতেন। সে সব কী ভালই না লাগিত!" (বাসেত : ১৯৭৬, ৬)

নাবালক কিশোর কিশোরী, যাদের উপর রোজা ফরজ হয়নি, তারা রোজা রাখার বায়না ধরলে ডবল রোজার— সেহরি থেকে দুপুর, দুপুর থেকে ইফতার— শিশু কিশোরদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য মা-বাবাদের এই কৌশলের আশ্রয় নেওয়া বেশ পুরনো রীতি। আবদুল বাসেতের পাশাপাশি প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ'র স্মৃতিতেও এ প্রসঙ্গটি এসেছে। পরবর্তীতে আমরা কলকাতায় বেড়ে উঠা মালিহা খাতুনের স্মৃতিতেও দেখতে পাবো ছেলে ভোলানো ডবল রোজার চিত্র।

১৯২৮ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করা ড. মালিহা খাতুনের বাল্যকাল কেটেছে কলকাতায়। তাঁর স্মৃতিকথায় উঠে এসেছে তৎকালীন কলকাতায় ফুটে উঠা রমজানের জৌলুস: "আমাদের কাউকে রোজা রাখতে দেওয়া হত না। মা বলতেন, একটু বড় হলে রোজা করবে। আমার কিন্তু ছোটবেলা থেকেই রোজা রাখার খুব শখ কিন্তু আমাকে সেহেরী খাওযার জন্য ডাকা হতো না। সেহেরীর সময় ঘুম ভাঙ্গানিয়া কয়েক লোক ভোররাতে রাস্তায় রাস্তায় ডেকে যেতো, 'উঠো আল্লাকে পেয়ারে বান্দা, সেহরী কা ওয়াক্ত হো গায়া।' রাত তিনটা থেকে তাদের ডাকাডাকি শুরু হত। আমার ঘুম ভেঙ্গে যেতো মা যখন বাবার পারাটা, দুধ গরম করার জন্য স্টোভ জ্বালাতেন, সেই শব্দেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যেতো। আমি বুবুর কাছে বসতাম। মা আমাকে দেখে বলত, তুমি যাও শুয়ে পড়। বাবা বলতেন, উঠেছে যখন, তখন ওকে খেতে দাও। মা বলতেন, ঠিক আছে খাও- কিন্তু তোমার হাফ রোজা- তোমার হাফ টিকিট লাগে। বুবু বলত, কেমন জব্দ- কাল দুপুরে তোমাকে খেতে হবে। আমি হেসে বলতাম, আমি তখন থাকব স্কুলে। যারা রোজা রাখত না তাদের জন্য কিন্তু দুপুরের ভাত আলু, বেগুন ভর্তা ছাড়া আর কোন কিছু রান্না হত না। স্কুল থেকে এসে আমরা যারা ভাত খেতাম তখন ইফতারির খুব ধুম। কলা, আপেল, পেয়ারা, নারকেল, চিড়া ভেজা নারকেলের কোরা দিয়ে, মুড়ি মাখানো লাল আলু সেদ্ধ, শাকালু, ছোলা, ঘুগনি, মটরশুঁটি ভাজা, পিঁয়াজু, আলুর চপ ইত্যাদি। আর হবেই না কেন- দুই পয়সায় দুইটা কমলা, দুই পয়সায় দুইটা আপেল চারটা পেয়ারা- দুই পয়সায় একটা নারকেল তার অর্ধেক কোরা আর অর্ধেক ফালি ফালি করে কাটা, ছোলার ঘুগনি, বাড়িতে তৈরি বেশন দিয়ে আলু, বেগুন, লাল কুমড়া, ফুল কফি, টুকরো করে ভাজা, বড় বড় পালং শাক ভাজা, সবগুলো বাড়িতে ভাজা হতো, আলুর চপ কিনে আনা হত- দুই পয়সায় দুইটা, দুই পয়সায় আটটা শসা। এইসব রকম একখান পোষ ইফতারি পাঠানো হত কাছের মসজিদে। সেখানে মসজিদের লোকজন ছাড়া পাড়ার সবার ছেলে-মেয়েরা জমা হয়ে থাকত। তারা আসত আজান শোনার জন্য, কারণ গলির মধ্যে অনেক বাড়িতে আজানের দোওয়া পৌঁছাতো না।

কলকাতায় মসজিদের সংখ্যা ছিল কম, ঢাকার মত মসজিদের শহর নয়। ছেলেরা সামান্য একটু ইফতারি নিয়ে বাড়ির দিকে ছুটে যেত 'আজান হো গিয়া' বলতে বলতে। 'ইফতারি দাও বলে' কেউ আমাদের বাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকতো না। তবে মাঝে মাঝে, সেহেরীর সময় ডাকার লোক আসত- বাবা হয়ত খাওয়ার কথা বলতেন। তারা ইফতারি খেয়ে রাতে খাবার ভাতটা সঙ্গে নিয়ে যেতো। বাবা রোজা শেষে ঐসব ঘুম জাগানী লোকদের লুঙ্গি, টাকা দিতেন- পাড়ার অন্যান্য মুসলমানদের কাছ থেকেও তারা বক্‌শিশ পেত। বুবু আজানের জন্য কান পেতে থাকত। আজান হবার আগেই আমরা ইফতারির টেবিলে বসে থাকতাম। বাবার নির্দেশে কিছু দোয়া বা একটা সুরা পড়তে হত। বাবা রোজা খোলা দোয়া পড়ে মুখে পানি দিতেন, তারপর একটু ছোলা খেয়ে শরবত খেয়ে মাগরেবের নামাজ পড়তে যেতেন- তারপর রাতের খাবার খেয়ে তারাবীর নামাজ পড়তে যেতেন মসজিদে। আমরা মহা উল্লাসে ইফতারি শেষ করতাম। এই ইফতারির জন্যই আমাদের রমজান মাস ভাল লাগতো।" (খাতুন : ১৯৯৯, ১৫)

এই বিষয়টি উল্লেখ করা জরুরী যে, শতবছর পূর্বে এত বেশি মসজিদ ছিল না, কিছু কিছু জায়গায় মসজিদ থাকলেও মাইকের ব্যবস্থা ছিল না, তাহলে মানুষ জানতো কিভাবে ইফতারের সময়? মালিহা খাতুনের স্মৃতিতে দেখতে পাচ্ছি ইফতারের সময় জানার দারুণ এক পন্থা। ছোট্ট ছেলেমেয়েরা মসজিদ থেকে আজান শুনে 'আজান হো গিয়া' (আজান হয়ে গেছে) বলতে বলতে বাড়ির দিকে দৌড়ে আসা, তাদের আওয়াজ শুনে পরিবারের সবাই ইফতার শুরু করা— এক মধুর দৃশ্য। শতবছর পূর্বের এই উৎসবমুখর দৃশ্য আজকের আধুনিক সময়ে হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারবো না।

পুরান ঢাকায় সেহরির সময় কাসিদা-কাওয়ালির মাধ্যমে রোজাদারদের ঘুম থেকে তোলার যে সংস্কৃতি তা যে শতবছর পূর্বে কলকাতার মুসলমান সমাজেও ছিল তা মালিহা খাতুনের স্মৃতিতে স্পষ্ট। এ প্রসঙ্গে তৎকালীন পুরান ঢাকার বাসিন্দা ঔপন্যাসিক রাবেয়া খাতুের স্মৃতিকথা স্মরণীয়: "শবেবরাতের পরপরই উঠতো রমজানের চাঁদ। আমাদের কাছে রোজা মানেই উৎসব। সে বছর আবার অনুমতি পেয়েছিলাম কয়েকটি রোজা রাখার। মসজিদের মিনারে মৌলবী সাহেব, গলিপথে পুরুষ শিশুরা। চাঁদ দেখা গেছে শোনা মাত্র পাড়ার বাংলা ঘর থেকে তরুণরা বেরিয়ে পড়তো টিন বগলে করে। কুমারী মেয়েরা ঝাঁক ধরে এ বাড়ি সেবাড়ি 'চান রাতের' সালাম জানাতো। কোনও কোনও বার কৌতুককর ঘটনা ঘটতো। চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যেতো মেলা দেরীতে। ঢাকার আকাশ হয়তো মেঘলা। সমুদ্র পাড়ের বোম্বে বা চাটগাঁ থেকে খবর আসতো যখন, তখন হয়তো পাড়ার অর্ধেক মানুষ ঘুমন্ত। ঘুম ভাঙ্গা চোখে কেউ ছুটতো মশলা পাতির দোকানে। কেউ অন্য সামগ্রীর। পাড়ার মুদিকে ডেকে ডেকে ঝাপ খোলানো হতো। পুরুষরা মসজিদের দিকে যেতেন তারাবী নামাজের জন্য। মহিলারা ব্যস্ত সেহেরীর জয়জোগাড়ে। ছেলেরা প্রতিবছর রোজার জন্য গান বাধতো। ভাষা সুর সব নিজেদের। সঙ্গীত দিয়ে ওরা পুরোবাসীদের ঘুম ভাঙ্গাতো— রমজান কি মাহিনা, ওঠো পেয়ারে মোমিনো, সেহেরীকা ওয়াক্ত হো গা, সেহেরী অব খোলো... পনেরো রোজা পর্যন্ত গাইতো 'মাহে রমজান আগায়া...' ষোল থেকে 'মাহে রমজান আলবিদা...' সব পাড়ারই নিজস্ব দল থাকতো। ঈদের পর বিভিন্ন মহল্লার সর্দার এবং আলা সর্দারের সাক্ষাৎ-এ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা ছিলো। রেওয়াজ অনুযায়ী বিজয়ী দল পুরস্কৃত হতো।" (খাতুন : ১৯৯৪, ৪২)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীনতম আবাসিক ভবন সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছিল মুসলমান ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ। রমজান মাসে হলের ব্যবস্থা কেমন হতো তার একটা ধারণা পাওয়া যায় ১৯৩৭ সালে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী থাকা ডক্টর এ আর মল্লিকের স্মৃতি থেকে: "আমাদের কালে রোজার সময় দিনের বেলায় ডাইনিং হল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকতো। আমরা যারা রোজা রাখতাম না তাদেরকে বাইরে খেতে হতো। ভীষণ রাগ হতো। কিন্তু কিছু করারও উপায় ছিলো না। কিছুদিন এই অবস্থা চলার পর আমরা বেশ কয়েকজন ঠিক করলাম রাতে সেকেণ্ড শো-তে সিনেমায় যাবো। আমরা বিশ-পঁচিশ জন সেকেণ্ড শো-তে সিনেমা দেখে রাত বারোটা-একটায় ফিরে সেহেরীর জন্য প্রস্তুত খাবার খেয়ে শুতে যেতাম। এমনিভাবে কিছুদিন চলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেল। আমাদের মতো বেরোজদারীদের সংখ্যা এমন পর্যায়ে দাঁড়ালো যে, সত্যিকারভাবে যারা রোজা রাখছিলো তাদের খাবারে টান পড়লো। খাবার কেন কম পড়ছে তা দেখার জন্য তদন্ত কমিটি বসলো। আমরা রাতে সেহেরী খাওয়া বন্ধ করলাম। এমন সব ঘটনা ঘটতো আমাদের সময়।" (মল্লিক : ১৯৯৫, ১৫)

এই সময়ে মুসলমান সমাজ রমজানকে উদযাপন করতে বদ্ধপরিকর, শতবছর পূর্বেও রমজান উদযাপনের  রেওয়াজ। রোজা নিয়ে শিশু কিশোরদের বায়না, ইফতার নিয়ে আনন্দ উল্লাস, তারাবি নিয়ে তরুণদের উৎসবমুখর পরিবেশ, সেহরিতে ডাকার জন্য কাসিদা-কাওয়ালি গাওয়ার সংস্কৃতি— সব‌ই ছিল পুরোদমে। স্মৃতিকথার মাধ্যমে কলকাতা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ফরিদপুরবাসী থেকে প্রাপ্ত সাক্ষ্য দেখে বলা যায়, পুরো বাংলার মুসলমান সমাজেই রমজান উদযাপনের রেওয়াজ জারি ছিল। ফলে, বর্তমান মুসলমান সমাজের রমজান উদযাপন নতুন কিছু নয়, বরং ঐতিহ্যবাহী সিলসিলার‌ অনুসরণ।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus in Rome to attend Pope Francis' funeral

The chief adviser is visiting the Vatican to attend Pope Francis' funeral

4h ago