আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর: জনগণের দল থেকে ‘বুদবুদে’ বসবাস

একটি রাজনৈতিক দল জনগণের দৃষ্টিতে কেমন, তা জানা বা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু, বাংলাদেশে আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই হয় না।
গত ৪৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। ছবি: রয়টার্স

আওয়ামী মুসলিম লীগ হিসেবে যাত্রা শুরু করা আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের ইতিহাসকে সংক্ষেপে বর্ণনা করতে গেলে বলতে হবে, দলটির এই যাত্রায় তিনটি ধাপ রয়েছে—প্রতিষ্ঠাকালীন আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা হাল ধরার পরের আওয়ামী লীগ।

১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছিল দেশের সব ধরনের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের রচয়িতা ও মূল চালিকাশক্তি। দলটি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের সব ধরনের অধিকার আদায়ের দাবিকে বলিষ্ঠ রূপ দিতে নিরলস কাজ করে গেছে। পাকিস্তান আমলে রাজনৈতিক দল হিসেবে একমাত্র আওয়ামী লীগই ছিল আমাদের সব গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষার ধারক ও বাহক।

প্রথম পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঘটনা ঘটে, যা আওয়ামী মুসলিম লীগকে সবার নজরে আনে। প্রথমটি ছিল ভাষা আন্দোলন, যা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে একাত্ম করে। এর মাধ্যমে আওয়ামী মুসলিম লীগ বাংলাদেশের প্রকৃত কণ্ঠস্বর হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়টি ছিল যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, যেখানে আওয়ামী মুসলিম লীগ সবচেয়ে বড় ও সক্রিয় অংশীদার হিসেবে ১৪৩ আসনে জয় পায়। মোট ৩০৯টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৮টি আসনে জয়লাভ করে। এসব ঘটনার মাধ্যমে আওয়ামী মুসলিম লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরি করে।

১৯৫৪ সালের নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম অনেক বড় একটি ঘটনা—যার গুরুত্ব তখনো মানুষ পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারেনি, এখনো পারছে না। বিষয়টির গভীরতা নিয়ে যথাযথ গবেষণা হয়নি এবং এর গুরুত্ব পরবর্তীতে গবেষণা বা প্রকাশিত বইয়ে পুরোপুরি উঠে আসেনি। এটা ছিল পাকিস্তানের আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গের সূচনা; একটি নবগঠিত রাষ্ট্রের একমাত্র ভিত্তি ধর্ম হতে পারে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার শুরু। আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রমাণ করে যে জনগণ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা দল মুসলিম লীগের ওপর থেকে ভরসা হারিয়েছে। পরবর্তীতে সামরিক বাহিনীর সমর্থন ছাড়া মুসলিম লীগ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

নতুন দলটি যারা গঠন করেছিলেন, তাদের প্রায় সবাই পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা ভাসানীর মতো কয়েকজন ছিলেন সম্মুখসারির নেতা। তাহলে কেন সাফল্যের সঙ্গে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পরও এই নেতারা এবং তাদের হাজারো অনুসারী মুসলিম লীগ থেকে সরে গেলেন?

উত্তর খুবই সহজ। পাকিস্তানের জন্মের পর মুসলিম লীগ হঠাৎ করেই নিজেদেরকে পশ্চিম পাকিস্তানের সামন্ত ও জমিদার বংশীয় ধনাঢ্যদের, বিশেষত পাঞ্জাবের বাসিন্দাদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত একটি দল হিসেবে উপস্থাপন করতে শুরু করে। দেশের বৈচিত্র্যময় ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় তথাকথিত পাকিস্তানি নেতৃত্ব একেবারেই চিন্তা করেনি। নতুন দেশটির সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হয়েও বাঙালিরা দেখতে পেলো, তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিশেষত তাদের মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

মূলত নতুন দেশটিকে অপমৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন সেই ব্যক্তি, যিনি এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন—কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ—যখন তিনি ঢাকায় ঘোষণা দেন, 'উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।' সেখান থেকেই ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের পতনের সূচনা।

আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই প্রকৃত অর্থে জনগণের কাছে পৌঁছাতে ও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয় এবং বাঙালির আশা-ভরসার দলে পরিণত হয়। সেটা ছিল দারুণ একটি সময়—যখন প্রকৃত অর্থেই লাখো সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করে তাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে পৌঁছে যায় দলটি এবং একইসঙ্গে তাদের শতভাগ ভালোবাসা, সমর্থন ও আস্থা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবি এ দেশের মানুষকে নজিরবিহীন উজ্জীবনি শক্তি দিয়েছিল; নিজেদের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য লড়ার দৃঢ় মনোবল এনে দিয়েছিল।

আমরা যারা সেই সময়ে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, তারা এর প্রত্যক্ষদর্শী। আমাদের সৌভাগ্য হয়েছে তার মন্ত্রমুগ্ধকর ভাষণ শোনার। আমরা একইসঙ্গে পাকিস্তানের শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী ও অভিজাতদের বিরুদ্ধে তার রুখে দাঁড়ানোর সাহস দেখে বিস্মিত হয়েছি। আমরা স্বচক্ষে দেখেছি যে কীভাবে তিনি তার অতুলনীয় কারিশমায় বাঙালিদের একাত্ম করেছিলেন। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অনুভব করেছিলাম যে শেষ পর্যন্ত এমন একজন নেতা পেয়েছি, যিনি আমাদের মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ ছিল সেই সময়ে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড়, একচেটিয়া এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। অনেক দিক দিয়েই এটা ছিল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক পূর্বাভাস। এই বিজয় আওয়ামী লীগকে পূর্ব পাকিস্তানের জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলার আইনি, নৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার দেয়। যখন আমাদের নিরস্ত্র মানুষের ওপর গণহত্যা চালানো হয়, তখন এই অধিকারের বলেই দলটি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাল্টা সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করতে সক্ষম হয়।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব, মুজিবনগর সরকার এবং বিশেষত যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ভূমিকা ছিল সবদিক থেকেই অনবদ্য। সশরীরে না থাকলেও প্রতিটি মুক্তিযুদ্ধ শিবির এবং মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়ে ও মননে 'উপস্থিত' ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা আমাদের জন্য সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা এবং এটি থেকে আমরা আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। সেসময় দেশে না থাকায় এই হত্যাকাণ্ড থেকে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে—আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।

৭৫ বছরের মধ্যে গত ৪৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বড় আকারে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে আওয়ামী লীগ। ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পর দলের হাল ধরেন তিনি। এরপর থেকে অদ্যাবধি দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করেছেন। তিনি কেবল দলটিকে সাফল্যের সঙ্গে পুনর্গঠিত ও পুনরুজ্জীবীতই করেননি, প্রায় ২১ বছর বিরোধী দলে থাকার পর নির্বাচনে জিতে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাসীনও করেছেন। এরপর আবারও ২০০৮ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেন এবং এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে সরকার প্রধান হিসেবে টানা ২০ বছর দায়িত্ব পালনের মাইলফলক ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তেও পৌঁছে গেছেন।

টানা ১৫ বছরের শাসনামলে তিনি অর্থনীতিতে অসামান্য উন্নয়ন অর্জন করেছেন। অবকাঠামো নির্মাণ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে (যদিও ক্যাপাসিটি চার্জের বিষয়টি বড় আকারে প্রশ্নবিদ্ধ) তার অসাধারণ অর্জন প্রশংসার দাবিদার। উন্নয়নের ধারায় বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতি অবশ্যই রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার যোগ্য ও অবিচল নেতৃত্বের ফল।

কিন্তু তার এই বিশাল অর্জনের জন্য বেশ চড়া দাম দিতে হয়েছে, যা দেশের জন্য ক্ষতির কারণ। ইতিহাস সাক্ষী, যখন কোনো দল একইসঙ্গে বিরোধী ও ক্ষমতাসীন পক্ষে থাকে এবং সেটা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলে, তখন দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্যের অবতারণা হয়। জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে শুরু হওয়া আওয়ামী লীগ এখন একক কণ্ঠের দলে পরিণত হয়েছে। যত বেশি সময় দলটি ক্ষমতায় থেকেছে, ততই এর কার্যক্রম কেন্দ্রীভূত হয়েছে। অতি ক্ষুদ্র থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণেও আর দলটির ভেতরে কোনো বিতর্ক হয় না; কেবলমাত্র শীর্ষ নেতার সিদ্ধান্তেই সব কাজ সম্পাদন হয়। স্থানীয় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা বেছে নেওয়া, প্রতিটি পর্যায়ের নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া—সবকিছুতেই নেতার ইচ্ছাই সব।

বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। যার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে, নেতৃত্ব কাঠামোর প্রতিটি স্তরে কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার উত্থান। দলটির তৃণমূল পর্যায়েও একই ধারা দেখা যায়। কারণ, দলের কোনো পর্যায়ে কোনো ধরনের জবাবদিহি নেই, নেতাকর্মীদের দলের প্রতি দায়িত্ব নেই; তারা কেবল শীর্ষপর্যায় থেকে আসা আদেশগুলোই পালন করে।

একটি রাজনৈতিক দল জনগণের দৃষ্টিতে কেমন, তা জানা বা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু, বাংলাদেশে আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই হয় না। এ দেশের নির্বাচন জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার মৌলিক সক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছে। এর জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতকারী রাষ্ট্রীয় সব সংস্থা ক্ষমতাসীন দলের কুক্ষিগত করে রাখা যেমন দায়ী, একইভাবে অবিবেচকের মতো নির্বাচন বর্জন করায় দায় রয়েছে বিরোধী দলগুলোরও। গত তিনটি সাধারণ নির্বাচনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভোটারদের গুরুত্বহীন করে দেওয়া।

৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে আওয়ামী লীগের গর্বিত হওয়ার মতো অসংখ্য কারণ রয়েছে। তাদের রয়েছে ঈর্ষণীয় সব অর্জন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের অসংখ্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় আওয়ামী লীগের রেকর্ড অসামান্য বলে বিবেচনা করা যায়।

একইভাবে দলটির সামনে এমন কারণের সংখ্যাও প্রায় সমান, যা তাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করতে পারে। একসময় যে দলটির যেকোনো কথা মানুষ বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিতো এবং অফুরন্ত ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখতো, বর্তমানে সেই দলের দৈনন্দিন কার্যক্রমে জনগণের ক্ষমতার জায়গাটা দখল করে নিয়েছে পেশীশক্তি আর অর্থ। দলের শীর্ষস্থানীয় অল্প কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ পদই ধনী ও দুর্নীতিগ্রস্তদের দখলে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক 'বিদ্রোহী' প্রার্থীর জয় এটাই প্রমাণ করে যে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কতটা দুর্নীতি হয়েছিল।

দলটি আজ একইসঙ্গে বিচারক ও জুরির ভূমিকা পালন করছে। জনগণের সঙ্গে কথা বললে যে প্রতিক্রিয়া পাবে, তা সহ্য করার ক্ষমতা নেই বলে দলটি কেবল আয়নার সামনে দাঁড়িয়েই কথা বলে। তারা শুধু নিজেদের গান শুনে যায়, কেননা অন্য যেকোনো সুর তাদের কাছে বিরক্তির কারণ। তারা নিজেদের বাগাড়ম্বরের বিষেই বিষাক্রান্ত এবং শুধু সেগুলোই তাদেরকে মুগ্ধ করে, যা তারা দেখতে চায়।

এটি একটি রাজনৈতিক দলের 'নিজস্ব বুদবুদে'র মধ্যে বসবাসের উদাহরণ। ক্ষমতার সবস্তরে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকায় এই বুদবুদ—তা যত ক্ষণস্থায়ীই হোক না কেন—বেশ বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, এই 'বুদবুদে'র উপস্থাপিত বাস্তবতা এমন সিদ্ধান্ত থেকে নেওয়া হতে পারে, যা আমাদের সবার জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

দুর্নীতি, অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিশেষত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ও স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপিদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সার্বিকভাবে এসব সমস্যা মোকাবিলা করার ধরন থেকে এটা স্পষ্ট যে এগুলো দীর্ঘদিন 'বুদবুদে' বসবাসের ফল ছাড়া আর কিছুই না।

আমরা আশা করি, এই লেখার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে তাদের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যথেষ্ট পরিমাণ চিন্তার খোরাক দিতে সক্ষম হয়েছি।

মাহফুজ আনাম: সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments