তার মতো ইতিহাসের মহানায়ককে হত্যা করে ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া যায় না। তিনি পুরাণের সেই ফিনিক্স পাখি। ছাই থেকে জেগে ওঠেন স্বর্ণখচিত ইতিহাসের পাতায় স্বমহিমায়।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় দখল করে আছে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ। ১৯৪৯, ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালে এই দিনটি পূর্ব পাকিস্তানে পালিত হয়েছিল ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে। ভাষা আন্দোলনের প্রথম...
১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ সিপিআই’র দ্বিতীয় কংগ্রেসে পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা ভিন্ন অধিবেশনে মিলিত হয়ে স্বতন্ত্রভাবে পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি ও একই সঙ্গে পার্টির পূর্ব...
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করার মধ্য দিয়েই পাবনায় ছড়িয়ে পড়েছিল ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনের একাত্তরতম বছরে স্টার স্পেশালে আজ থাকছে পাবনার ভাষা আন্দোলনের...
১৯৫২ সালে ফেব্রুয়ারিতে এই আন্দোলনের তীব্রতা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করে। তবে দেশবিভাগের পরেই ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত। বিশেষ করে ১৯৪৯ সালে সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা ‘পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ নামক দীর্ঘ...
খুলনা বরাবরই পরিচিত ছিল শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর হিসেবে। কিন্তু সেই শহরেও আছড়ে পড়েছিল ভাষা আন্দোলনের ঢেউ।
কিন্তু বাংলার বুদ্ধিজীবীদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর করাচিতে এক শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। হঠকারী এই...
কয়েস উদ্দিন নেননি সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা কিংবা ভাতা
সালাম, বরকত, জব্বারদের রক্ত সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল
২৭ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদের বাংলাবিরোধী ভূমিকার প্রতিক্রিয়ায় বরিশাল মুসলিম ইনস্টিটিউটে ভাষাবিষয়ক জনসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনাটি ছিল মূলত প্রতিবাদ সভা। সভায় খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা...
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ১১ মার্চকে মূল দিন হিসেবে ধরে তা সফল করতে খুলনা শহরে পোস্টার লাগানো হয়। একই সঙ্গে দেয়ালে দেয়ালে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান লেখা হয়।
ঢাকায় যখন ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল, ঠিক সেসময় কবি খন্দকার খালেককে আহ্বায়ক ও জালাল উদ্দিন আহমেদকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় ‘পটুয়াখালী রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’।
১৯৪৮ সালের মে মাসে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কুড়িগ্রাম সফর করেন। এটি কুড়িগ্রামের নেতাকর্মীদের ভীষণভাবে উজ্জীবিত করেছিল। মওলানা ভাসানী তখন কুড়িগ্রাম সদর, বামনডাঙ্গা, ভুরুঙ্গামারিসহ বেশ কয়েকটি...
সেদিন শহরের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে লাঠিচার্জ শুরু করলে ছাত্ররা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পুলিশ মিছিল থেকে উপেন মালাকার, সামসুর রহমান খান,...
১৯৫১ সালের একদিন মিলি চৌধুরীর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রংপুর জজ কোর্টে গিয়ে পৌঁছায়। এসময় আদালতে এজলাস চলছিল। এক পর্যায়ে মিছিল থেকে কারমাইকেল কলেজের ছাত্রী মিলি...
এতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের এবং চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে ময়মনসিংহসহ পুরো উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল।
কেবল একুশের প্রথম কবিতা নয়, ভাষা আন্দোলনে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল চট্টগ্রাম।
১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গড়ে উঠতে না পারলেও বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন তীব্রভাবে দানা বেঁধেছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের মূল দিনে সমগ্র কুষ্টিয়া জুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মঘট পালিত হয়।