ভাষা আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়া এবং স্কুলে কালো পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ছালেহা বেগম।
জাতির পিতার কন্যা বলেন, এই ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে। কোথাকার কোন মেজর সাহেব ঘোষণা দিল, আর বাংলাদেশ স্বাধীন...
ভাষিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে ধারণ করা একুশের চেতনা বাঙালির মনের ভেতর জাগিয়ে দিয়েছিল রাষ্ট্রবাসনা।
সিলেটের সীমান্ত ঘেঁষা পাহাড়ি এলাকায় কন্দ সম্প্রদায়ের বসবাস। এই সম্প্রদায়ের ভাষার নাম ‘কুই’। বর্তমানে মাত্র চার জন বয়োজ্যেষ্ঠ এই ভাষায় কথা বলতে পারেন। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা এই ভাষায় কথা বলতে...
তার মতো ইতিহাসের মহানায়ককে হত্যা করে ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া যায় না। তিনি পুরাণের সেই ফিনিক্স পাখি। ছাই থেকে জেগে ওঠেন স্বর্ণখচিত ইতিহাসের পাতায় স্বমহিমায়।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় দখল করে আছে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ। ১৯৪৯, ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালে এই দিনটি পূর্ব পাকিস্তানে পালিত হয়েছিল ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে। ভাষা আন্দোলনের প্রথম...
১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ সিপিআই’র দ্বিতীয় কংগ্রেসে পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা ভিন্ন অধিবেশনে মিলিত হয়ে স্বতন্ত্রভাবে পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি ও একই সঙ্গে পার্টির পূর্ব...
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করার মধ্য দিয়েই পাবনায় ছড়িয়ে পড়েছিল ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনের একাত্তরতম বছরে স্টার স্পেশালে আজ থাকছে পাবনার ভাষা আন্দোলনের...
১৯৫২ সালে ফেব্রুয়ারিতে এই আন্দোলনের তীব্রতা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করে। তবে দেশবিভাগের পরেই ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত। বিশেষ করে ১৯৪৯ সালে সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা ‘পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ নামক দীর্ঘ...
বরিশালে ভাষা আন্দোলনের ঢেউ এসে পৌঁছেছিল ১৯৪৮ সালেই। ১৯৫২ সালে বরিশাল হয়ে ওঠে মিছিলের নগরী।
ভাষা আন্দোলনের তীব্র স্রোত পৌঁছে গিয়েছিল উত্তরের জনপদ দিনাজপুরেও। দিনাজপুর বরাবরই ছিল রাজনীতি সচেতন।
পাবনায় ভাষা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার ও সক্রিয় প্রভাব বিস্তারে স্থানীয় এডওয়ার্ড কলেজ এবং জেলা স্কুলের রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রগতিশীল জনগণ অবদান রেখেছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের অগ্নি উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল ময়মনসিংহেও। ২ পর্বের ভাষা আন্দোলনে পূর্ব বাংলার যে কয়টি জেলায় আন্দোলন সমানতালে চলেছিল তার মধ্যে ময়মনসিংহ অন্যতম। মুসলিম লীগের প্রবল দাপট থাকা সত্ত্বেও ভাষা...
২৭ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদের বাংলাবিরোধী ভূমিকার প্রতিক্রিয়ায় বরিশাল মুসলিম ইনস্টিটিউটে ভাষাবিষয়ক জনসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনাটি ছিল মূলত প্রতিবাদ সভা। সভায় খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা...
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ১১ মার্চকে মূল দিন হিসেবে ধরে তা সফল করতে খুলনা শহরে পোস্টার লাগানো হয়। একই সঙ্গে দেয়ালে দেয়ালে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান লেখা হয়।
ঢাকায় যখন ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল, ঠিক সেসময় কবি খন্দকার খালেককে আহ্বায়ক ও জালাল উদ্দিন আহমেদকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় ‘পটুয়াখালী রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’।
১৯৪৮ সালের মে মাসে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কুড়িগ্রাম সফর করেন। এটি কুড়িগ্রামের নেতাকর্মীদের ভীষণভাবে উজ্জীবিত করেছিল। মওলানা ভাসানী তখন কুড়িগ্রাম সদর, বামনডাঙ্গা, ভুরুঙ্গামারিসহ বেশ কয়েকটি...
সেদিন শহরের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে লাঠিচার্জ শুরু করলে ছাত্ররা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পুলিশ মিছিল থেকে উপেন মালাকার, সামসুর রহমান খান,...
১৯৫১ সালের একদিন মিলি চৌধুরীর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রংপুর জজ কোর্টে গিয়ে পৌঁছায়। এসময় আদালতে এজলাস চলছিল। এক পর্যায়ে মিছিল থেকে কারমাইকেল কলেজের ছাত্রী মিলি...