বাস্তবতা হলো, দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রধান শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বা একজন আরেকজনের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে গেলেও সেখানে যে রাজনীতির আলোচনা হয় না—সেটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
যেসব দল রাজনীতিকে একশো মিটার দৌড় মনে করে তারা দ্রুতই হারিয়ে যায়। টিকে থাকে কেবল তারাই, রাজনীতিকে ম্যারাথন হিসেবে গ্রহণ করার ধৈর্য, শক্তি, সাহস ও জনভিত্তি যাদের আছে।
মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে চায় বা ফেরত নেয়ার যোগ্য মনে করে বলে যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে—তাতে এখনই আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই।
‘দাদাগিরি’ করে সম্পর্ক হবে না। কেননা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হতে হয় পারস্পরিক স্বার্থ, শ্রদ্ধা ও সম্মানের ভিত্তিতে। এটা দিল্লিকে যেমন বুঝতে হবে, তেমিন ঢাকাকেও।
সরকারের ভেতরে সমন্বয় না থাকলে বিরোধীরা এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে।
আগামী এক বছরে যদি বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ মিলে অন্তত লাখখানেক রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারে, সেটিও বড় কাজ হবে।
এই ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সব সেবা যে ধীরে ধীরে অনলাইন নির্ভর হয়ে যাবে—সেটার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও থাকা দরকার।
‘যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই, চ্যালেঞ্জ নেই, পরীক্ষা নেই, সেখানে নিরপেক্ষতা ও সততার প্রশ্ন অবান্তর।’
কিন্তু এটিও বাস্তবতা যে, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই ধর্মভিত্তিক দলগুলোর কদর বাড়ে।
ভোটের বাতাস বলছে, এবারের নির্বাচন ঠিক আগের দুটির মতো হবে না। এবার অনেক আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে তাদের দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই লড়তে হবে।
সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশেই গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সংখ্যা বেশি। অথচ সেই গ্রিন ফ্যাক্টরির দেশেই বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিককে রাস্তায় নামতে হয়। গুলি খেয়ে মরতে হয়।
ক্ষমতায় কে থাকলো, জনগণের কাছে তারচেয়ে বড় প্রশ্ন চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজের দাম কেমন। নিত্যপণ্যের বাজার ইস্যুতে সরকার এখন বেকায়দায় আছে সেটি অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এই ইস্যুতে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে...
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষ যখন ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত, তখন এই সংকটের সমাধান করতে না পারলেও মানুষের অভাববোধ কিংবা বাজারদর নিয়ে তার ক্ষোভকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখাই ভালো। কেননা আজ যিনি...
দেশের সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, লেখক-সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা মিলে নিশ্চয়ই এমন একটি বিধানের সন্ধান দিতে পারেন যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি অগণতান্ত্রিক...
এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের বিপন্ন নদীগুলো পুনরুদ্ধার এবং দখল ও দূষণকারী এবং বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তিনি যেরকম সোচ্চার ছিলেন; যে সাহসী বক্তব্য দিয়েছেন—তা...
লাবণ্য দাশ মনে করেন, মৃত্যুর পরপার সম্পর্কে জীবনানন্দের একটা অদ্ভুত আকর্ষণ ছিল। মাঝে মধ্যেই তিনি বলতেন, মৃত্যুর পরে অনেক প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা হয়।
‘আমলাদের তুষ্ট করা বা খুশি রাখার এই প্রবণতা নতুন নয়। পদ না থাকার পরে অপ্রয়োজনে গণহারে পদোন্নতিও প্রশাসনে নিয়মিত। অথচ অন্য আরও অনেক সরকারি চাকরিজীবী বছরের পর বছর ধরে পদোন্নতির আশায় বসে থাকেন।’