ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মতে, আগামী কয়েকদিনও এ ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
কুশিয়ারা নদীর পানি বেশ দ্রুতগতিতে বাড়ছে এবং ইতোমধ্যে এটি সুনামগঞ্জের একটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
‘সরকার হয়তো খাদ্যশস্য মজুদের সংকটে ভুগছে।’
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও সদর উপজেলার। সদরের ৯৬৩টি ও কলমাকান্দায় ৩২২টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেকে।
শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণার সাম্প্রতিক বন্যায় এখনো ৬৩ হাজার ১৭১ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে।
দুই দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার পূর্বধলা, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্লাবিত ৫০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক এ বন্যায় এখন পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ সড়ক ভেঙে গেছে।
বন্যায় নয় লাখ ৪২ হাজার ৮২১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন
পানির চাপে চাটখিল উপজেলার নাহারখিল-খিলপাড়া বাজার সংযোগ ব্রিজটি গতকাল ভেঙে গেছে
বন্যার পূর্বাভাস থাকায় প্রায় প্রতিরাতে বন্যার আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
‘গত ১০ দিন হলো গরুকে পানির সঙ্গে একমুঠো ধানের কুড়া মিশিয়ে খেতে দিচ্ছি। না খেয়ে গুরুগুলো শুকিয়ে গেছে।’
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভালো না। বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতে নতুন করে দুই-তিন ইঞ্চি পানি বেড়েছে।
‘অপরিকল্পিতভাবে সড়ক উন্নয়ন, ড্রেনগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা এবং পাহাড় কাটার কারণে এ ধরনের জলাবদ্ধতা হচ্ছে।’
এক ধরনের ভাসমান টয়লেট যা বন্যার পানিতে ভেসে থাকবে, পানি চলে গেলে মাটিতে বসে পড়বে, আবার বন্যার পানি আসলে ভেসে উঠবে।
জেলার লাখ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। ভয়াবহ এই বন্যায় নোয়াখালীতে এখন পর্যন্ত ছয় শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট ভবানী-জীবনপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। এর পরে দুই-তিন ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নোয়াখালীর বন্যা কবলিত আটটি উপজেলার ৭৫ শতাংশ এলাকা পানির নীচে ছিল।