কাসুন্দি-কাঁচা আমে মুরগি

গরমে চারপাশ যেন থেমে থাকে। বাতাস গরম, শরীর অলস, কিছু খাওয়ার কথা ভাবলেই বিরক্তি আসে। কিন্তু ঠিক তখনই হাতের সামনে পড়ে কাঁচা একটা আম। টক গন্ধে যেন হঠাৎ একটা স্বস্তির হাওয়া লাগে। কাঁচা আম মানেই তো বরাবরই শরবত বা আচার, কখনো বা ঝাল মরিচ ভর্তার পাশে ফালি করে কাটা আম।
তবে এবার ভিন্ন এক রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। কাঁচা আম দিয়ে মুরগি রান্না। একটা নতুন স্বাদ, একটা অচেনা মোড়। কাসুন্দির কড়া ঘ্রাণ, কাঁচা আমের টক সব মিলিয়ে রান্নাটা হয়ে ওঠে একেবারেই আলাদা। রান্নার শেষে যখন এক চিমটি চিনি দিয়ে নামিয়ে নেওয়া হয়, তখন বোঝা যায় এই টক-মিষ্টির দ্বন্দ্বে একটা ভারসাম্য লুকিয়ে ছিল।
যা লাগবে
- মাঝারি সাইজের ১টি কাঁচা আম (খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে নেওয়া)
- ১ কেজি মুরগি (হাড়সহ)
- ২ টেবিল চামচ কাসুন্দি
- ১ টেবিল চামচ করে আদা ও রসুন বাটা
- ১ চা-চামচ করে জিরা, ধনিয়া, হলুদ গুঁড়া
- ২ চা-চামচ লাল মরিচ গুঁড়া
- পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
- হাফ কাপ তেল
- গোটা গরম মসলা (দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ)
- ১ চা-চামচ চিনি
- লবণ স্বাদমতো
- ১ কাপ গরম পানি
রন্ধন প্রণালি
প্রথমে কাঁচা আম ভালো করে ছেঁটে গ্রেটারের সাহায্যে কুচি করে নিতে হবে। এই রান্নার জন্য একটি মাঝারি সাইজের কাঁচা আমই যথেষ্ট। এরপর একটি পাত্রে মুরগির মাংস, কুচি করা আম, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা গুঁড়া, কাসুন্দি, লাল মরিচের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে অন্তত এক ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখতে হবে।
এবার যে পাত্রে রান্না করা হবে, সেখানে আধা কাপ তেল দিয়ে গোটা গরম মসলা ফোড়ন দিতে হবে। এ রান্নায় তেলের পরিমাণ একটু বেশি লাগে। গরম মসলা থেকে সুঘ্রাণ বের হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি যোগ করে ভাজতে হবে যতক্ষণ না পেঁয়াজ লালচে রং ধারণ করে।
এরপর মেরিনেট করা মুরগির মাংস দিয়ে দিতে হবে। এই পর্যায়ে পানি দেওয়ার দরকার নেই। অল্প নেড়ে ঢেকে দিলে মুরগি থেকে নিজেই পানি বের হবে, যা দিয়ে মাংসটা ভালোভাবে কষানো যাবে।
মুরগি কষানো হয়ে গেলে সেখানে এক কাপ গরম পানি যোগ করে আরও ১৫ মিনিট রান্না করতে হবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে, যাতে পাত্রের তলায় লেগে না যায়।
রান্না প্রায় শেষ হয়ে এলে, নামানোর ঠিক আগে এক চা-চামচ চিনি দিয়ে দিতে হবে। এতে কাঁচা আমের টক স্বাদের সঙ্গে সুন্দর একটা ভারসাম্য তৈরি হবে।
এই কাঁচা আম দিয়ে মুরগি পরিবেশন করা হয় গরম ভাতের সঙ্গে। খিচুড়ির পাশে জমে দারুণ, আর পরোটার সঙ্গে খাওয়ার সময় আলাদা করে কিছু ভাবতেই হয় না।
Comments