তবে কি এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, এই রক্তে ভেজা সবুজ প্রান্তর মৃত্যু উপত্যকাই থেকে যাবে?
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সব জায়গায় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা মিলে যে দুর্নীতির দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছিল, সেই চক্র তো ভাঙেইনি, বরং কোথাও কোথাও এই চক্র আরও শক্তিশালী হয়েছে।
চারপাশে এত অন্যায়, এত কষ্ট—সেগুলো শুধু চোখে দেখে চুপ করে থাকলে ভেতরটা কেমন জানি ভারী হয়ে যায়।
সঠিক নির্বাচন হলে কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হবে, সে বিষয়ে কিছু ধারণা করা গেলেও সবসময় সব ধারণা সত্যি নাও হতে পারে।
জনগণকে সচেতন করেই যদি পৃথিবীতে মব বা অপরাধ থামানো যেত, তাহলে আর পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগের প্রয়োজন হতো না।
‘দেশের মানুষ কোনো একটি দলকে সত্যিই যদি ৯০ শতাংশ আসনে বিজয়ী করে, তাহলে তার পক্ষে স্বৈরাচার না হয়ে উপায় থাকবে না। কেননা, যখনই কোনো একটি দল এত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তখন বিরোধী দল বলে কিছু থাকে না।’
বিচার ও সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন যেমন দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ নেই, তেমনি শুধুমাত্র একটি দলের পরে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় এনে পুরোনো পদ্ধতির চক্রে দেশকে ঠেলে দেওয়াটাও কোনো কাজের কথা নয়।
নির্বাচন ও এসএসসি—দুটি বড় পরীক্ষা এক মাসে আয়োজন করা যাবে কি না, সেটি বিরাট প্রশ্ন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত যে ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে মাত্র একটি হয়েছে জুনে, একটি মে মাসে। বাকি ১০টি নির্বাচন হয়েছে তুলনামূলক শুকনো মৌসুমে।
বহির্বিশ্বের কাছে আমরা আমাদের আইনি ব্যবস্থার কোন ধরনের ভাবমূর্তি তুলে ধরছি?
ভোটের বাতাস বলছে, এবারের নির্বাচন ঠিক আগের দুটির মতো হবে না। এবার অনেক আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে তাদের দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই লড়তে হবে।
যারা এমপি হতে চান, তাদের প্রতি কোনো বিদ্বেষ নেই। কেবল এটুকু বলা যে, রাজনীতিবিদরা, ব্যতিক্রমী উদাহরণ বাদে, যেকোনো পেশাজীবীর চেয়ে জনগণকে ভালো বোঝেন, জনগণের চাওয়া-পাওয়াটা আমলে নেন। এ কারণে রাজনীতিটা...
ক্ষমতায় কে থাকলো, জনগণের কাছে তারচেয়ে বড় প্রশ্ন চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজের দাম কেমন। নিত্যপণ্যের বাজার ইস্যুতে সরকার এখন বেকায়দায় আছে সেটি অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এই ইস্যুতে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে...
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষ যখন ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত, তখন এই সংকটের সমাধান করতে না পারলেও মানুষের অভাববোধ কিংবা বাজারদর নিয়ে তার ক্ষোভকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখাই ভালো। কেননা আজ যিনি...
গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা মানুষগুলোর স্বার্থরক্ষা ও মুক্ত গণমাধ্যমবিরোধী আইনের কলেবর বাড়তে থাকায় আইনের মোড়কে হেনস্তার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা এখন এক ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা। তারপরও আমরা দ্য ডেইলি স্টারে...
‘নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে বিএনপি আর সহিংসতাহীন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অবস্থান ধরে রাখতে পারল না। আর তাতেই ক্রমশ মনোবল হারানো আওয়ামী লীগ মনোবল ফিরে পেয়েছে।’
দেশের সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, লেখক-সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা মিলে নিশ্চয়ই এমন একটি বিধানের সন্ধান দিতে পারেন যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি অগণতান্ত্রিক...
একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির যাঁতাকলে মানুষ পিষ্ট, অপর দিকে রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্তরা তাদের কথায় মানুষের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলছেন। অথচ এই মানুষগুলোর দায়িত্ব ছিল সাধারণ মানুষের...
এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের বিপন্ন নদীগুলো পুনরুদ্ধার এবং দখল ও দূষণকারী এবং বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তিনি যেরকম সোচ্চার ছিলেন; যে সাহসী বক্তব্য দিয়েছেন—তা...